জনপ্রিয় লেখক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে নুহাশপল্লীতে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় ।
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে তার কবরের পাশে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) মানুষের ঢল নামে। নানা বয়সী হুমায়ূন ভক্ত সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রিয় লেখকের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীতে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে হুমায়ূন আহমেদের হাতে গড়া নুহাশপল্লীতে হাজারো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে পুরো নুহাশপল্লীকে আলোকিত করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাতেই হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কবরের পাশে ফাতেহাপাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন। এ সময় নুহাশপল্লীর কর্মচারীরা ও অসংখ্য হুমায়ূন ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।কবর জিয়ারত শেষে নুহাশপল্লীতে হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেল তলায় তার ৭২তম জন্মদিনের কেক কাটেন দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। এ সময় শতাধিক হুমায়ূন ভক্ত, গণমাধ্যমকর্মী ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা নুহাশপল্লীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন।তারা তাদের প্রিয় লেখকের কবরে ফুল দেন এবং নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থেকে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ভক্তরা দিনভর তাদের প্রিয় লেখকের হাতে গড়া নুহাশপল্লী ঘুরে দেখেন।উল্লেখ্য, কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে তাকে দাফন করা হয়।